, মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নেত্রকোনা জেলা বিএনপির ত্রি বার্ষিক সন্মেলনে সভাপতি ডাঃ আনোয়ারুল হক ও সাধারণ সম্পাদক ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী বিজয়ী। গাইবান্ধায় প্রগতি লেখক সংঘের জেলা সম্মেলন নেত্রকোনা জেলা বিএনপির ত্রি বার্ষিক সন্মেলনে সভাপতি ডাঃ আনোয়ারুল হক ও সাধারণ সম্পাদক ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী বিজয়ী। ময়মনসিংহ সদর উপজেলা মোবাইল কোর্ট পরিচালিত। নেত্রকোনা জেলা বিএনপির ত্রি বার্ষিক সন্মেলন অনুষ্ঠিত। ময়মনসিংহ অঞ্চলে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্যসেবায় মৌলিক পরিবর্তন আনা সম্ভব- স্থানীয় সরকার বিভাগ সচিব। নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে জয়পুরহাটে বিক্ষোভ। সাউথ বাংলার দুজনের বিরুদ্ধে মামলা, ভল্ট থেকে টাকা ও ডলার আত্মসাত। গাজায় সাংবাদিকদের হত্যার প্রতিবাদে খুলনায় মানববন্ধন। খুলনায় কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে এনসিপির দুই গ্রুপের হাতাহাতি।

নগরকান্দায় (অবঃ) মেজরসহ চার সহযোগী গ্রেপ্তার।

  • প্রকাশের সময় : ০৮:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
  • ৮১ পড়া হয়েছে

মিজানুর রহমান ,নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি;

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কোদালিয়া গ্রামে চাঁদাবাজি ও হত্যার হুমকির অভিযোগে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর গোলাম হায়দারকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। মঙ্গলবার (৩ জুন) গভীর রাতে তার নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।

নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম জানান, মেজর হায়দারের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ফরহাদ হোসেনসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও সাধারণ মানুষকে হয়রানির একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রাজু মোল্ল্যা অভিযোগ করে বলেন, ইউনিয়ন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন মেজর হায়দার। রাজু মোল্ল্যা এতে রাজি না হলে গত ১ জুন তাকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। পরে থানায় লিখিত অভিযোগ করলে ওই রাতেই যৌথ বাহিনী অভিযান চালায়।

অভিযানের সময় মসজিদের মাইক ব্যবহার করে ফরহাদ হোসেন ‘মেজরের বাড়িতে ডাকাত পড়েছে’ বলে গুজব ছড়ান। এতে আশপাশের এলাকা থেকে মানুষজন ঘটনাস্থলে জড়ো হন। পরে পুলিশ সাইরেন ও মাইকিংয়ের মাধ্যমে জানায়—এটি একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গুজব, ডাকাতির কোনো ঘটনা ঘটেনি।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এলাকাবাসীর সহায়তায় ফরহাদসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে মেজর হায়দারকেও নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়।

এর আগে উপজেলার ডাংগি ইউনিয়নে বৈষম্য বিরোধী এক নারী নেত্রীকে ঘিরে উত্তেজনার সময় স্থানীয় শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ চলাকালে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে উগ্র আচরণ ও অশোভন মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েন মেজর হায়দার। সেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করে।

গ্রেপ্তারের পর কোদালিয়া গ্রামজুড়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন স্থানীয়রা। তারা বলেন, তার প্রভাবের কারণে কেউ মুখ খুলতে পারত না। এখন মনে হচ্ছে প্রশাসন সাধারণ মানুষের পাশে আছে।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম আরও জানান, রাজু মোল্লা নামের এক ব্যক্তি চাঁদাবাজির অভিযোগ দিলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে তাদেরকে।

জনপ্রিয়

নেত্রকোনা জেলা বিএনপির ত্রি বার্ষিক সন্মেলনে সভাপতি ডাঃ আনোয়ারুল হক ও সাধারণ সম্পাদক ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী বিজয়ী।

নগরকান্দায় (অবঃ) মেজরসহ চার সহযোগী গ্রেপ্তার।

প্রকাশের সময় : ০৮:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

মিজানুর রহমান ,নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি;

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কোদালিয়া গ্রামে চাঁদাবাজি ও হত্যার হুমকির অভিযোগে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর গোলাম হায়দারকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। মঙ্গলবার (৩ জুন) গভীর রাতে তার নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।

নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম জানান, মেজর হায়দারের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ফরহাদ হোসেনসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও সাধারণ মানুষকে হয়রানির একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রাজু মোল্ল্যা অভিযোগ করে বলেন, ইউনিয়ন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন মেজর হায়দার। রাজু মোল্ল্যা এতে রাজি না হলে গত ১ জুন তাকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। পরে থানায় লিখিত অভিযোগ করলে ওই রাতেই যৌথ বাহিনী অভিযান চালায়।

অভিযানের সময় মসজিদের মাইক ব্যবহার করে ফরহাদ হোসেন ‘মেজরের বাড়িতে ডাকাত পড়েছে’ বলে গুজব ছড়ান। এতে আশপাশের এলাকা থেকে মানুষজন ঘটনাস্থলে জড়ো হন। পরে পুলিশ সাইরেন ও মাইকিংয়ের মাধ্যমে জানায়—এটি একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গুজব, ডাকাতির কোনো ঘটনা ঘটেনি।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এলাকাবাসীর সহায়তায় ফরহাদসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে মেজর হায়দারকেও নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়।

এর আগে উপজেলার ডাংগি ইউনিয়নে বৈষম্য বিরোধী এক নারী নেত্রীকে ঘিরে উত্তেজনার সময় স্থানীয় শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ চলাকালে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে উগ্র আচরণ ও অশোভন মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েন মেজর হায়দার। সেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করে।

গ্রেপ্তারের পর কোদালিয়া গ্রামজুড়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন স্থানীয়রা। তারা বলেন, তার প্রভাবের কারণে কেউ মুখ খুলতে পারত না। এখন মনে হচ্ছে প্রশাসন সাধারণ মানুষের পাশে আছে।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম আরও জানান, রাজু মোল্লা নামের এক ব্যক্তি চাঁদাবাজির অভিযোগ দিলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে তাদেরকে।