, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কেন্দুয়ায় LGCRRP প্রকল্পে ধীরগতি ও নিম্নমানের কাজের অভিযোগ। কলমাকান্দায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা। কলমাকান্দায় ১৭ বছর পর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত। ময়মনসিংহে মৃত্তিকার বিভাগীয় কার্যালয় ও গবেষণাগার উদ্বোধন করেন মহাপরিচালক। আগের আমলের সেই মাফিয়াদেরকে একটি রাজনৈতিক দল প্রশ্রয় দিচ্ছে : নাহিদ ইসলাম।  অস্বাভাবিক গরমে ভুগছেন সারাদেশের মানুষ। আপনার ফোনে কোন ভার্সনের LMC বা GCam সাপোর্ট পাবে এবং কিভাবে সেই ভার্সন ডাউনলোড করবেন অতি সহজেই তা দেখে নিন!! জামালপুর সদর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড দাপুনিয়া জলাশয়ে অর্ধগলিত অজ্ঞত’নামা এক মৃত দেহ উদ্ধার। নিখোঁজ যুবদল নেতা শামীমের পরিবারের পাশে ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী।৩ দিনের মধ্যে খোঁজ না মিললে লাগাতার কর্মসূচির হুঁশিয়ারি। ঈশ্বরগঞ্জে গলাকেটে রাকিব হত্যা, মামাতো ভাইসহ অন্যান্য মামলার আসামী গ্রেপ্তার -৬।

জামালপুরে ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়ম ।

  • প্রকাশের সময় : ০৯:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫
  • ৩৫ পড়া হয়েছে

জাকিরুল ইসলাম বাবু,জামালপুর প্রতিনিধি;

মেলান্দহ উপজেলার ঘোষের পাড়া ইউনিয়নে গরিব-অসহায়দের জন্য সরকারি বরাদ্দের ঈদের উপহার ভিজিএফ এর চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেলান্দহ উপজেলার ৫৯৩০ জন সুবিধা ভোগীদের নামের তালিকা করে তালিকা করে বুধবার থেকে চাল বিতরণ শুরু করা হয় । বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ভিজিএফ এর চাল বিতরণে ১০ কেজি চাল দেওয়ার কথা থাকলেও বালতির মাধ্যমে সাড়ে আট থেকে ৯ কেজি ৩৫০ গ্রাম চাল বিতরণ করা হচ্ছে। এমনকি চাল মাপার জন্য ডিজিটাল স্কেল মেশিন ব্যবহার করার নিয়ম থাকলেও সেটাকে তোয়াক্কা না করে প্যানেল চেয়ারম্যান মো: আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ইউনিয়ন কর্তৃপক্ষ নিজের ইচ্ছা মত প্লাস্টিকের বালতির মাধ্যমে চাল বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন। এ ছাড়াও এক ব্যক্তিকেই ৩/৪ জনের চাল নিতে দেখা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন সুবিধাভোগীরা জানান, অনেকেই সাড়ে ৮ কেজি আবার কেউ নয় কেজি চাল পেয়েছে। আমি ৯ কেজি ৩০০ গ্রাম চাল পেয়েছি। মিটার দিয়ে চাল মেপে দেয় নাই। বালতি দিয়ে মেপে দিচ্ছে, তাই যার কপালে যেটা জুটছে সেটাই পাচ্ছে। আর স্লিপ কয়জনে পাইছে জানিনা। তবে এখনো অনেক চালের বস্তা পরিষদে আছে। হয়তো আত্মসাৎ করবে এরা।

ঘোষেরপাড়া ইউনিয়ন এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা

মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে কার্ড ধারীরা এসে চাল নিয়ে যাচ্ছে।

কথা হলে ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সাড়ে নয় কেজির ওপরে চাল দিতে পারব না। লাগলে বন্ধ করে দিব।

তবে মেলান্দহ উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এ কে এম গোলাম কিবরিয়া জানান, আমি এখানে উপস্থিত থেকে চাল বিতরণ করে যাচ্ছি। সাড়ে নয় কেজির ওপরে প্যানেল চেয়ারম্যান কেন চাল দিবে না এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরো জানান, হয়তো কথাটি রাগের মাথায় বলেছে।

মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম. আলমগীর জানান, সাড়ে নয় কেজির নীচে তো চাল দেওয়ার কথা না। আমি দেখতেছি । বিষয়টি ট্যাগ অফিসারকে আপনারাও বলুন।

জনপ্রিয়

কেন্দুয়ায় LGCRRP প্রকল্পে ধীরগতি ও নিম্নমানের কাজের অভিযোগ।

জামালপুরে ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়ম ।

প্রকাশের সময় : ০৯:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫

জাকিরুল ইসলাম বাবু,জামালপুর প্রতিনিধি;

মেলান্দহ উপজেলার ঘোষের পাড়া ইউনিয়নে গরিব-অসহায়দের জন্য সরকারি বরাদ্দের ঈদের উপহার ভিজিএফ এর চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেলান্দহ উপজেলার ৫৯৩০ জন সুবিধা ভোগীদের নামের তালিকা করে তালিকা করে বুধবার থেকে চাল বিতরণ শুরু করা হয় । বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ভিজিএফ এর চাল বিতরণে ১০ কেজি চাল দেওয়ার কথা থাকলেও বালতির মাধ্যমে সাড়ে আট থেকে ৯ কেজি ৩৫০ গ্রাম চাল বিতরণ করা হচ্ছে। এমনকি চাল মাপার জন্য ডিজিটাল স্কেল মেশিন ব্যবহার করার নিয়ম থাকলেও সেটাকে তোয়াক্কা না করে প্যানেল চেয়ারম্যান মো: আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ইউনিয়ন কর্তৃপক্ষ নিজের ইচ্ছা মত প্লাস্টিকের বালতির মাধ্যমে চাল বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন। এ ছাড়াও এক ব্যক্তিকেই ৩/৪ জনের চাল নিতে দেখা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন সুবিধাভোগীরা জানান, অনেকেই সাড়ে ৮ কেজি আবার কেউ নয় কেজি চাল পেয়েছে। আমি ৯ কেজি ৩০০ গ্রাম চাল পেয়েছি। মিটার দিয়ে চাল মেপে দেয় নাই। বালতি দিয়ে মেপে দিচ্ছে, তাই যার কপালে যেটা জুটছে সেটাই পাচ্ছে। আর স্লিপ কয়জনে পাইছে জানিনা। তবে এখনো অনেক চালের বস্তা পরিষদে আছে। হয়তো আত্মসাৎ করবে এরা।

ঘোষেরপাড়া ইউনিয়ন এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা

মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে কার্ড ধারীরা এসে চাল নিয়ে যাচ্ছে।

কথা হলে ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সাড়ে নয় কেজির ওপরে চাল দিতে পারব না। লাগলে বন্ধ করে দিব।

তবে মেলান্দহ উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এ কে এম গোলাম কিবরিয়া জানান, আমি এখানে উপস্থিত থেকে চাল বিতরণ করে যাচ্ছি। সাড়ে নয় কেজির ওপরে প্যানেল চেয়ারম্যান কেন চাল দিবে না এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরো জানান, হয়তো কথাটি রাগের মাথায় বলেছে।

মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম. আলমগীর জানান, সাড়ে নয় কেজির নীচে তো চাল দেওয়ার কথা না। আমি দেখতেছি । বিষয়টি ট্যাগ অফিসারকে আপনারাও বলুন।