, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কেন্দুয়ায় LGCRRP প্রকল্পে ধীরগতি ও নিম্নমানের কাজের অভিযোগ। কলমাকান্দায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা। কলমাকান্দায় ১৭ বছর পর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত। ময়মনসিংহে মৃত্তিকার বিভাগীয় কার্যালয় ও গবেষণাগার উদ্বোধন করেন মহাপরিচালক। আগের আমলের সেই মাফিয়াদেরকে একটি রাজনৈতিক দল প্রশ্রয় দিচ্ছে : নাহিদ ইসলাম।  অস্বাভাবিক গরমে ভুগছেন সারাদেশের মানুষ। আপনার ফোনে কোন ভার্সনের LMC বা GCam সাপোর্ট পাবে এবং কিভাবে সেই ভার্সন ডাউনলোড করবেন অতি সহজেই তা দেখে নিন!! জামালপুর সদর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড দাপুনিয়া জলাশয়ে অর্ধগলিত অজ্ঞত’নামা এক মৃত দেহ উদ্ধার। নিখোঁজ যুবদল নেতা শামীমের পরিবারের পাশে ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী।৩ দিনের মধ্যে খোঁজ না মিললে লাগাতার কর্মসূচির হুঁশিয়ারি। ঈশ্বরগঞ্জে গলাকেটে রাকিব হত্যা, মামাতো ভাইসহ অন্যান্য মামলার আসামী গ্রেপ্তার -৬।

কলমাকান্দায় জুলাই শহীদ পরিবারকে কায়সার কামালের ঈদ উপহার।

  • প্রকাশের সময় : ১০:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫
  • ৮৬ পড়া হয়েছে

মো: শফিকুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার :

দীর্ঘ ১৭ বছরের স্বৈরশাসনের অবসানে মুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। এ বিজয়ের পেছনে আছে অগণিত ত্যাগ, আন্দোলন আর বুকভরা রক্ত। রাজপথের সংগ্রামে যারা জীবন দিয়েছেন, সেইসব শহীদের পরিবার আজো বয়ে চলেছে শোকের ভার। হারিয়েছেন সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্যকে এবংচোখে জল, মনে দুঃসহ ব্যথা শহীদ পরিবারের মাঝে

এমন বাস্তবতায় ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে পাশে দাঁড়ালেন কলমাকান্দার সন্তান ও বিএনপি’র কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। নিজ অর্থায়নে তিনি কলমাকান্দা ও দুর্গাপুর উপজেলার আন্দোলনে নিহত ৮টি শহীদ পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছেন ঈদের বিশেষ উপহার।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কলমাকান্দার আহাদুন, আব্দুল আল মামুন, সোহাগ মিয়া ও মেহেদী হাসান শহীদ হন। এদের প্রত্যেকের পরিবারে পৌঁছে দেওয়া হয় কোরবানীর জন্য একটি করে খাসি, চাল, ডাল, মসলা, পেঁয়াজ-রসুন থেকে শুরু করে নতুন জামাকাপড় পর্যন্ত ঈদ সামগ্রী।

শহীদ আব্দুল আল মামুনের মা উপহার হাতে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। কণ্ঠ বেদনায় ভারাক্রান্ত, বলেন, ‘আমার ছেলেকে হারিয়েছি, কিন্তু আজ মনে হচ্ছে ব্যারিস্টার কায়সার আমার আরেক ছেলে হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন। এত বড় উপহার পেয়ে আমি অভিভূত। তার জন্য দোয়া করি। সে যেন অসহায়দের পাশে থাকে সবসময়।

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, শহীদ পরিবারের শোকের ভাগীদার আমি। ঈদের আনন্দ ও বেঁচে থাকার সাহস তাঁদের সাথে ভাগ করে নিতে পারাটাই আমার দায়িত্ব। শুধু ঈদ উপহার নয়। চিকিৎসা, আবাসনসহ যেসব সহযোগিতা দরকার, তা দিয়ে যাচ্ছি এবং দিয়ে যাব।

তিনি আরও বলেন, ‘শহীদদের রক্ত বৃথা যাবে না। অপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে, যারা পরিবারগুলোকে নিঃস্ব করেছে, তারা ন্যায়বিচার পাবে। আমরা যেন সত্যিকার অর্থেই নতুন একটি বাংলাদেশ গড়তে পারি, এটাই কামনা করেন তিনি।

শহীদের রক্তে লেখা এই সংগ্রামের গল্প যেন বিস্মৃত না হয়, সেই চেষ্টায় একজন রাজনীতিকের মানবিক উপস্থিতি হয়ে উঠেছে আলোর দিশা।

জনপ্রিয়

কেন্দুয়ায় LGCRRP প্রকল্পে ধীরগতি ও নিম্নমানের কাজের অভিযোগ।

কলমাকান্দায় জুলাই শহীদ পরিবারকে কায়সার কামালের ঈদ উপহার।

প্রকাশের সময় : ১০:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫

মো: শফিকুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার :

দীর্ঘ ১৭ বছরের স্বৈরশাসনের অবসানে মুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। এ বিজয়ের পেছনে আছে অগণিত ত্যাগ, আন্দোলন আর বুকভরা রক্ত। রাজপথের সংগ্রামে যারা জীবন দিয়েছেন, সেইসব শহীদের পরিবার আজো বয়ে চলেছে শোকের ভার। হারিয়েছেন সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্যকে এবংচোখে জল, মনে দুঃসহ ব্যথা শহীদ পরিবারের মাঝে

এমন বাস্তবতায় ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে পাশে দাঁড়ালেন কলমাকান্দার সন্তান ও বিএনপি’র কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। নিজ অর্থায়নে তিনি কলমাকান্দা ও দুর্গাপুর উপজেলার আন্দোলনে নিহত ৮টি শহীদ পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছেন ঈদের বিশেষ উপহার।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কলমাকান্দার আহাদুন, আব্দুল আল মামুন, সোহাগ মিয়া ও মেহেদী হাসান শহীদ হন। এদের প্রত্যেকের পরিবারে পৌঁছে দেওয়া হয় কোরবানীর জন্য একটি করে খাসি, চাল, ডাল, মসলা, পেঁয়াজ-রসুন থেকে শুরু করে নতুন জামাকাপড় পর্যন্ত ঈদ সামগ্রী।

শহীদ আব্দুল আল মামুনের মা উপহার হাতে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। কণ্ঠ বেদনায় ভারাক্রান্ত, বলেন, ‘আমার ছেলেকে হারিয়েছি, কিন্তু আজ মনে হচ্ছে ব্যারিস্টার কায়সার আমার আরেক ছেলে হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন। এত বড় উপহার পেয়ে আমি অভিভূত। তার জন্য দোয়া করি। সে যেন অসহায়দের পাশে থাকে সবসময়।

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, শহীদ পরিবারের শোকের ভাগীদার আমি। ঈদের আনন্দ ও বেঁচে থাকার সাহস তাঁদের সাথে ভাগ করে নিতে পারাটাই আমার দায়িত্ব। শুধু ঈদ উপহার নয়। চিকিৎসা, আবাসনসহ যেসব সহযোগিতা দরকার, তা দিয়ে যাচ্ছি এবং দিয়ে যাব।

তিনি আরও বলেন, ‘শহীদদের রক্ত বৃথা যাবে না। অপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে, যারা পরিবারগুলোকে নিঃস্ব করেছে, তারা ন্যায়বিচার পাবে। আমরা যেন সত্যিকার অর্থেই নতুন একটি বাংলাদেশ গড়তে পারি, এটাই কামনা করেন তিনি।

শহীদের রক্তে লেখা এই সংগ্রামের গল্প যেন বিস্মৃত না হয়, সেই চেষ্টায় একজন রাজনীতিকের মানবিক উপস্থিতি হয়ে উঠেছে আলোর দিশা।