
বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বৈষম্যের শিকার পুরুষরা , বাংলাদেশে ৮০% পুরুষ স্ত্রীর নির্যাতনের শিকার । কিন্তু পুরুষ কাউকে বলতে পারে না স্ত্রী যদি স্বামী কে তরকারির চামচ গরম করে কপালে বা শরীরে লাগিয়ে দেয়।যদি স্বামীকে স্ত্রী মারধর করে । কাউকে লজ্জায় বলতে পারে না । পুরুষ যদি কাউকে এসব কথা বলে মানুষ তখন তাকে নিয়ে হাসা হাসি করে । আবার অনেকে বলে বউর হাতে মার খেয়ে মানুষকে বলিস তোর শরম করে না । কিন্তু স্ত্রীকে স্বামী যদি এসব করে । তখন সমাজের মানুষ বলে। তোমার স্বামী হচ্ছে একটা অমানুষ , অনেকে বলে নিজের স্ত্রীর গায়ে কিভাবে হাত তোলে , একটু মায়া হয় না। আরো অনেকে বলে স্বামীর নামে মামলা করো তার মা বাবার নামে মামলা করো । এটা সবচেয়ে বড় একটা বৈষম্য পুরুষের ক্ষেত্রে , সব স্ত্রী স্বামীকে এসব করে না । অনেক স্ত্রী আছে স্বামীকে নিজের জীবনে চাইতেও ভালবাসে আর কিছু আছে স্বামীকে নির্যাতন এবং অত্যাচার করে । আরেকটা জিনিস হল কাবিন নামা এ কাবিন নামা জালে অনেক ছেলে আটকে যায়। কারণ একটা ছেলের সমর্থ আছে ০১ লক্ষ টাকা কিন্তু তার কাবিন নামা দেওয়া হয় ১০ লক্ষ / ৫ লক্ষ টাকা যদি স্বামীর সাথে ঝগড়া লাগে তাহলে স্ত্রী হুমকি দেয় কাবিন নামা কত মনে আছে। এটার কারণে অনেক পুরুষ নির্যাতনের শিকার হয় কিন্তু কাউকে বলতে পারে না । যখন সংসার টিকে না তখন সেই ছেলেটার সমর্থ থাকে ০১ লক্ষ টাকা দেওয়ার কিন্তু তার কাবিন নামায় আছে ১০ লক্ষ টাকা , সে পুরুষ শেষ পর্যায়ে বাবা মার বিটা বাড়ি বিক্রি করে কাবিন নামা পরিশোধ করে।এটা ছেলেদের জন্য একটা বড় বোঝা আর জুলুম এই কাবিন নামা আর যৌতুকের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই । কাবিন নামা কখনো সুখ দিতে পারে না । যদি মনুষ্যত্ব আর ভালো ফ্যামিলি না হয় তাহলে কখনো সুখ হবে না । সেটা হোক মেয়ে বা ছেলে , বাংলাদেশে বলা হয় পুরুষ মহিলা সমান অধিকার কিন্তু বাস্তবতা তা ভিন্ন, বাস্তবের সাথে কোন মিল নেই ।
আমরা পুরুষরা বৈষম্য থেকে বাঁচতে চাই ।
** পুরুষ নির্যাতনের কিছু দৃশ্য দেওয়া হলো নিচে
** একজন পুলিশ সদস্য স্ত্রীর নির্যাতন সইতে না পেরে আত্মহত্যা করে ।
** অন্যদিকে স্বামীকে স্ত্রী দেশীয় অস্ত্র দিয়ে স্বামীর মাথায় আঘাত করে এবং তার মাথায় ছয়টা সেলাই লাগে ।
মোঃ নাজমুল হোসাইন শাওন
লংগদু প্রতিনিধি রাঙামাটি