, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আপনার ফোনে কোন ভার্সনের LMC বা GCam সাপোর্ট পাবে এবং কিভাবে সেই ভার্সন ডাউনলোড করবেন অতি সহজেই তা দেখে নিন!! জামালপুর সদর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড দাপুনিয়া জলাশয়ে অর্ধগলিত অজ্ঞত’নামা এক মৃত দেহ উদ্ধার। নিখোঁজ যুবদল নেতা শামীমের পরিবারের পাশে ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী।৩ দিনের মধ্যে খোঁজ না মিললে লাগাতার কর্মসূচির হুঁশিয়ারি। ঈশ্বরগঞ্জে গলাকেটে রাকিব হত্যা, মামাতো ভাইসহ অন্যান্য মামলার আসামী গ্রেপ্তার -৬। কেন্দুয়ায় নিখোঁজ যুবদল নেতা শামীম এর পরিবারের পাশে ডক্টর রফিকুল ইসলাম হিলালী। খুলনার দৌলতপুরে যুবদল নেতাকে গুলি করে ও পায়ের রগ কেটে হত্যা।  মদনে নৈশ প্রহরীকে ছাতার আঘাতে হত্যা।  ময়মনসিংহে জেলা গোয়েন্দা সাখার ওসি ইনচার্জ সহিদুল ইসলামের সফলতা। সাংবাদিকতার মুখোশে চাঁদাবাজি ও লুটপাট! হাটহাজারী প্রেস ক্লাবের অর্থ সম্পাদকের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। আমতলীতে নাবালিকাকে অপহরণ, আসামীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা!

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় জমি নিয়ে রক্তাক্ত সংঘর্ষ, নারীসহ আহত ৩ গ্রেপ্তার ১।

কেন্দুয়া থানা

নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা গ্রামে জমি সংক্রান্ত পুরনো বিরোধ রূপ নেয় ভয়াবহ সহিংসতায়। নারীর সম্মানহানি ও সহিংসতায় রক্তাক্ত হয় পরিবার আহত হন তিনজন, যাদের মধ্যে দুইজন নারী।

ঘটনাটি ঘটে গত ৮ জুন বিকেলে, যেখানে মৃত আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রেজু মিয়ার চার ছেলে ও তাদের সহযোগীরা সংঘবদ্ধ হয়ে স্থানীয় জোৎস্না আক্তারের পারিবারিক জমিতে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে। অভিযোগ অনুযায়ী, তারা জোরপূর্বক জমিতে বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করে।

জমি রক্ষায় এগিয়ে এলে হামলার শিকার হন জোৎস্নার স্বামী ইদ্রিস আলী, মেয়ে রুজিনা আক্তার ও ননদ ঝর্ণা। তাঁদের ওপর চালানো হয় বেপরোয়া মারধর, এমনকি শ্লীলতাহানির চেষ্টারও অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়; পরে অবস্থার অবনতি হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

ঘটনার পর, সোমবার (৩০ জুন) রাতে দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি মাহমুদুল হাসান কিরণকে (৪০) পুলিশ গ্রেফতার করে। তিনি মৃত আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রেজু মিয়ার ছেলে। মামলার অন্যান্য এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন: মাহমুদুল হাসান ওরফে লিকন (৩০), জাহিদ হাসান লিখন (২৮) ও মাহমুদুল হাসান হিরণ (৩৫)।

তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জাহিদ হাসান জানান, ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।

এই ঘটনা আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, গ্রামবাংলার জমি সংক্রান্ত বিরোধ কীভাবে নারীর নিরাপত্তা, মানবিকতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে। পুলিশি তদন্তের পাশাপাশি স্থানীয়দের সচেতনতা ও দ্রুত বিচারই পারে এই ধারাবাহিক সহিংসতা রোধ করতে।

রেজুয়ান হাসান জয়, নেত্রকোনা প্রতিনিধি

মোবাইল: ০১৭৭০৬৪৭০৯৫

জনপ্রিয়

আপনার ফোনে কোন ভার্সনের LMC বা GCam সাপোর্ট পাবে এবং কিভাবে সেই ভার্সন ডাউনলোড করবেন অতি সহজেই তা দেখে নিন!!

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় জমি নিয়ে রক্তাক্ত সংঘর্ষ, নারীসহ আহত ৩ গ্রেপ্তার ১।

প্রকাশের সময় : ০২:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

কেন্দুয়া থানা

নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা গ্রামে জমি সংক্রান্ত পুরনো বিরোধ রূপ নেয় ভয়াবহ সহিংসতায়। নারীর সম্মানহানি ও সহিংসতায় রক্তাক্ত হয় পরিবার আহত হন তিনজন, যাদের মধ্যে দুইজন নারী।

ঘটনাটি ঘটে গত ৮ জুন বিকেলে, যেখানে মৃত আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রেজু মিয়ার চার ছেলে ও তাদের সহযোগীরা সংঘবদ্ধ হয়ে স্থানীয় জোৎস্না আক্তারের পারিবারিক জমিতে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে। অভিযোগ অনুযায়ী, তারা জোরপূর্বক জমিতে বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করে।

জমি রক্ষায় এগিয়ে এলে হামলার শিকার হন জোৎস্নার স্বামী ইদ্রিস আলী, মেয়ে রুজিনা আক্তার ও ননদ ঝর্ণা। তাঁদের ওপর চালানো হয় বেপরোয়া মারধর, এমনকি শ্লীলতাহানির চেষ্টারও অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়; পরে অবস্থার অবনতি হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

ঘটনার পর, সোমবার (৩০ জুন) রাতে দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি মাহমুদুল হাসান কিরণকে (৪০) পুলিশ গ্রেফতার করে। তিনি মৃত আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রেজু মিয়ার ছেলে। মামলার অন্যান্য এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন: মাহমুদুল হাসান ওরফে লিকন (৩০), জাহিদ হাসান লিখন (২৮) ও মাহমুদুল হাসান হিরণ (৩৫)।

তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জাহিদ হাসান জানান, ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।

এই ঘটনা আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, গ্রামবাংলার জমি সংক্রান্ত বিরোধ কীভাবে নারীর নিরাপত্তা, মানবিকতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে। পুলিশি তদন্তের পাশাপাশি স্থানীয়দের সচেতনতা ও দ্রুত বিচারই পারে এই ধারাবাহিক সহিংসতা রোধ করতে।

রেজুয়ান হাসান জয়, নেত্রকোনা প্রতিনিধি

মোবাইল: ০১৭৭০৬৪৭০৯৫